কাতিলা গামের উপকারিতা ও খাওয়ার সঠিক নিয়ম

Katila gum


কাতিলা গাম (Tragacanth Gum) যাকে কাতিরা গাম বা কাটিলা গম ও বলা হয়। কাতিলা গাম একটি পলিসেকারাইড। একটি প্রাকৃতিক আঠা যা অ্যাস্ট্রাগালাস প্রজাতির মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন প্রজাতির শুকনো রস থেকে সংগ্রহ করা হয়। এটি সাদা বা হালকা সমান লালচে বর্ণের একটি শক্ত আঠা যা পানিতে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে নরম হয়ে ফুলে উঠে। কাতিলা গাম প্রোটিন এবং ফলিক অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে যা দেহের সু-স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। 


কাতিলা গাম এর উপকারিতা 


হার্ট স্ট্রোক প্রতিরোধে সহযোগিতা করে

এটি সেবনের ফলে গ্রীষ্মে সময় শরীর শীতল থাকে, শরীরের তাপ মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে ফলে হার্ট স্ট্রোক প্রতিরোধে সাহায্য করে।

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী

প্রসবের পর মহিলারা দুর্বল হয়ে পড়েন। কাতিলা গাম শরীরের শক্তি অর্জনে সহায়ক এবং নতুন মাকে মাতৃত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করে। এটি পিরিয়ডের সময় ভারী রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
কাতিলা গাম ত্বকের জন্য উপকারী

কাতিলা গাম  আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এবং আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-এজিং গুণ যা ত্বকের বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখা হ্রাস করতে সাহায্য করে।

যৌন দুর্বলতায় কাতিলা গাম

নিয়মিত সেবনে পুরুষের লিবিডো উন্নত করে পুরুষদের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাতিলা গাম ম্যাজিকের মতো কাজ করে। অনেক যৌন বিশেষজ্ঞ যৌন দুর্বলতায় কিংবা বীর্য পাতলা হলে কাতিলা গাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে

অন্যের স্বাস্থ্য এবং হজমের জন্য কাতিলা গাম অত্যান্ত উপকারী। এর রয়েছে রেচক প্রভাব যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে উপস্থিত এনজাইম খাবার হজমে করতে সহায়তা করে এবং মলত্যাগকে নিয়মিত করে এছাড়াও কাতিলা গাম শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও যেসকল উপকারিতা রয়েছে বীর্য ঘন করতে কাতিলা গাম অনেক উপকারী। সাদা স্রাব দূর করে। 


কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম 

  • ১ চা চামচ পরিমাণ কাতিলা গাম ১ ক্লাস এর একটু কম পানিতে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে তা জেলির মত হয়ে যাবে, যাদের ডায়বেটিস নেই  তারা সাথে মধু, লাল চিনি বা তালমিছরির (১-২ চা চামচ) মিশ্রণ তৈরী করে সকালে বা রাতে ঘুমানোর আগে খেতে পারেন (প্রচুর পরিমাণে পানি মিশিয়ে নিতে হবে)।
  • এটি খালি পেটে খেলে বেশি উপকার পাবেন। কাতিলা গাম পনিতে ভিজিয়ে খেতে কারো সমস্যা হলে দুধ বা শরবতের সাথেও খেতে পারবেন।
  • যাদের প্রস্রাবের আগে এবং পরে জ্বালা পোড়া করে তারা রাতে ১ চা চামচ কাতিলা গাম ১ ক্লাস পানির সাথে মিশিয়ে রেখে সকালে পানি সহ খেয়ে ফেলতে হবে এই ভাবে ১ মাস খেলে প্রতিকার পাওয়া যায়।

কাতিলা গাম খেলে কি হয়

বীর্য ঘন করতে কাতিলা গাম অনেক উপকারী। সাদা স্রাব দূর করে। শরীরের দুর্বলতা দূর করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে , শরীরকে ঠান্ডা রাখতে অনেক কাজ করে, প্রসাপের আগে এবং  জ্বালাপোড়া থেকে রেহাই পেতে অনেক উপকারী এই কাতিলা গাম 





Post a Comment

Previous Post Next Post